গাজওয়াতুল হিন্দ : শাহ নেয়ামাতুল্লাহ রহ.-এর কাসিদায় বলা ভয়ংকর কিছু তথ্য ও এর বাস্তবতা


গাজওয়াতুল হিন্দ : শাহ নেয়ামাতুল্লাহ রহ.-এর কাসিদায় বলা ভয়ংকর কিছু তথ্য ও এর বাস্তবতা
.
বর্তমানে সচেতন যেকোনো মুসলিম মাত্রই শাহ নেয়ামাতুল্লাহ রহ.-এর কাসিদার কথা শুনে থাকবেন। এ কাসিদার বাণীগুলো ওহি নয় ঠিক, তবে একজন আল্লাহওয়ালা ব্যক্তির ইলহাম হিসেবে তা শোনা এবং এ থেকে একটা ধারণা নেওয়াতে দোষের কিছু নেই। বিশেষত যখন তাঁর ইলহামী বলা কথাগুলো এ পর্যন্ত পুরোপুরি বাস্তবের সাথে মিলে গেছে। তাঁর দেওয়া ভবিষ্যতবাণী অনুসারে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, দুই যুদ্ধের মধ্যকার ব্যবধান, নাৎসী বাহিনী, মিত্রবাহিনী, যুদ্ধের ফলাফল, আণবিক বোমা নিক্ষেপসহ সবকিছুই হুবহু মিলে গেছে। এ থেকেই আন্দাজ করা যায় যে, তার কাসিদায় বলা কথাগুলো ফেলে দেওয়ার মতো নয়; বরং বাস্তবতার সাথে পুরোই মিলে যাচ্ছে। আজ আমি আপনাদের সামনে তাঁর রচিত কবিতার কিয়দাংশ সামান্য ব্যাখ্যা সহকারে উল্লেখ করছি। হয়তো এ থেকে অনেক ভাই উপকৃত হবেন ইনশাআল্লাহ।

উল্লেখ্য যে, কবিতায় থাকা কয়েকটি বিষয় আমাদের অন্তরে বেশ ভীতির সৃষ্টি করেছে। কেননা, ইতিমধ্যেই কয়েকটি বিষয় অনেকাংশেই মিলে গেছে দেখা যাচ্ছে। যেমন : ৪০ নং পংক্তিতে এসেছে-“মুসলিম নেতা অথচ বন্ধু কাফেরের তলে তলে; মদদ করিবে অরি কে সে এক পাপ চুক্তির ছলে। এরপর ৪১ নং পংক্তিতে এসেছে-“প্রথম অক্ষরে থাকিবে শীনে’র অবস্থান; শেষের অক্ষরে থাকিবে নূন ও বিরাজমান।” এখানে স্পষ্ট করা হয়েছে যে, মুসলিম নামধারী নেতা হিন্দুদের সাথে গোপন চুক্তি করবে, আর তার নাম হবে হবে প্রথম অক্ষর আরবি শীন, যা বাংলায় শ এবং শেষের অক্ষর নুন, যা বাংলায় ন। এবার ‘শেখ হাসিনা’ নামটি এবং ভারতের সাথে তার কার্যক্রম মিলিয়ে দেখুন তো মেলে কিনা! এরপর ৪৩ নং পংক্তিতে এসেছে- “সৃষ্টি হইবে ভারত ব্যাপিয়া প্রচণ্ড আলোড়ন; উসমান এসে নিবে জিহাদের বজ্র কঠিন পণ।” এখানে বুঝা যায়, উসমান নামে কেউ মুসলমানদের জিহাদে বাইআত করাবেন। আর স্বাভাবিকত তিনিই এ অঞ্চলের আমির হবেন বুঝা যাচ্ছে। আশ্চর্যের বিষয় হলো, গ্লোবাল জিহাদের জন্য বর্তমানে বাঙলা মুলুকের আমিরের নাম উসমান! কী অবাক হচ্ছেন? এভাবেই শাহ নেয়ামাতুল্লাহ রহ.-এর পূর্বের সবগুলো ভবিষ্যতবাণী সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। আল্লাহ চাহেতো এটাও সত্য বলেই প্রমাণ হবে বলে মনে হচ্ছে।

আসুন, এবার আমরা শাহ নেয়ামাতুল্লাহ রহ.-এর কাসিদাগুলো পড়ে নিই।

(১) পশ্চাতে রেখে এই ভারতের অতীত কাহিনী যত,
আগামী দিনের সংবাদ কিছু বলে যাই অবিরত।

ব্যাখ্যা : ভারত = ভারতীয় উপমহাদেশ। এখানে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান উদ্দেশ্য।

(২) দ্বিতীয় দাওরে হুকুমত হবে তুর্কী মুঘলদের,
কিন্তু শাসন হইবে তাদের অবিচার যুলুমের।

ব্যাখ্যা : দ্বিতীয় দাওর = ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম শাসনের দ্বিতীয় অধ্যায়। শাহবুদ্দীন মুহম্মাদ ঘুরী রহ.-এর আমল (১১৭৫ সাল) থেকে সুলতান ইব্রাহীম লোদীর শাসনকাল (১৫২৬ সাল) পর্যন্ত প্রথম দাওর। আর মোঘল সম্রাট বাবরের শাসনকাল (১৫২৬ সাল) থেকে ভারতে মুসলিম শাসনের দ্বিতীয় দাওর শুরু হয়।

(৩) ভোগে ও বিলাসে আমোদে-প্রমোদে মত্ত থাকিবে তারা,
হারিয়ে ফেলিবে স্বকীয় মহিমা তুর্কী স্বভাব ধারা।

ব্যাখ্যা : মোঘল শাসকদের অনেকই আল্লাহওয়ালা ছিলেন। তবে কেউ কেউ প্রকৃত ইসলামী আইন কানুন ও শরীয়তের আমল থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন।

(৪) তাদের হারায়ে ভিনদেশী হবে শাসন দণ্ডধারী,
জাকিয়া বসিবে,নিজ নামে তারা মুদ্রা করিবে জারি।

ব্যাখ্যা : ভিন দেশী = ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী ইংরেজদের বোঝানো হয়েছে

(৫) এরপর হবে রাশিয়া জাপানে ঘোরতর এক রণ,
রুশকে হারিয়ে এ রণে বিজয়ী হইবে জাপানীগণ।
(৬) শেষে দেশসীমা নিবে ঠিক করে মিলিয়া উভয় দল,
চুক্তিও হবে কিন্তু তাদের অন্তরে রবে ছল।

ব্যাখ্যা : বিশ শতকের (১৯০০ সালের) প্রারম্ভে এ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। জাপান কোরিয়ার ওপর আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে পীত সাগর, পোর্ট অব আর্থার ও ভলডিভস্টকে অবস্থানরত রুশ নৌবহরগুলো আটক করার মধ্য দিয়ে এ যুদ্ধ শুরু হয়। অবশেষে রাশিয়া জাপানের সাথে চুক্তি করতে বাধ্য হয়।

(৭) ভারতে তখন দেখা দিবে প্লেগ আকালিক দুর্যোগ,
মারা যাবে তাতে বহু মুসলিম হবে মহাদুর্ভোগ।

ব্যাখ্যা : ১৮৯৮-১৯০৮ সাল পর্যন্ত ভারতে মহামারী আকারে প্লেগের প্রাদুর্ভাব ঘটে। এতে প্রায় পাঁচ লক্ষ লোকের জীবনাবসান হয়। ১৭৭০ সালে ভারতে মহাদুর্ভিক্ষ সৃষ্টি হয়। বঙ্গপ্রদেশে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এ থেকে উদ্ভুত মহামারিতে এ প্রদেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ প্রাণ হারায়।

(৮) এরপর পরই ভয়াবহ এক ভূকম্পনের ফলে,
জাপানের এক তৃতীয় অংশ যাবে হায় রসাতলে।

ব্যাখ্যা : ১৯৪৪ সালে জাপানের টোকিও এবং ইয়াকুহামায় প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্প সংঘটিত হয়।

(৯) পশ্চিমে চার সাল ব্যাপী ঘোরতর মহারণ,
প্রতারণা বলে হারাবে এ রণে জীমকে আলিফগণ।

ব্যাখ্যা : ১৯১৪-১৯১৮ সাল পর্যন্ত চার বছরাধিকাল ধরে ইউরোপে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয়। জীম = জার্মানি এবং আলিফ = ইংল্যান্ড।

(১০) এ সমর হবে বহু দেশজুড়ে অতীব ভয়ঙ্কর,
নিহত হইবে এতে এক কোটি ত্রিশ লাখ নারী-নর।

ব্যাখ্যা : ব্রিটিশ সরকারের তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রথম মহাযুদ্ধে ১ কোটি ৩০ লক্ষ বা সামান্য কমবেশি লোক মারা যায়।

(১১) অতঃপর হবে রণ বন্ধের চুক্তি উভয় দেশে,
কিন্তু তা হবে ক্ষণভঙ্গুর টিকিবে না অবশেষে।

ব্যাখ্যা : ১৯১৯ সালে প্যারিসের ভার্সাই প্রাসাদে প্রথম মহাযুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে “ভার্সাই সন্ধি” হয় কিন্তু তা বেশিদিন টিকেনি।

(১২) নিরবে চলিবে মহাসমরের প্রস্তুতি বেশুমার,
জীম ও আলিফে লড়াই ঘটিবে বারংবার।
১৩) চীন ও জাপানে দু’দেশ যখন লিপ্ত থাকিবে রণে,
নাসারা তখন রণ প্রস্তুতি চালাবে সঙ্গোপনে।

ব্যাখ্যা : নাসারা মানে খ্রিষ্টান, অর্থাৎ আমেরিকা, ইংল্যান্ড, ইতালীসহ মিত্র রাষ্ট্রগুলো।

(১৪) প্রথম মহাসমরের শেষে একুশ বছর পর,
শুরু হবে ফের আরও ভয়াবহ দ্বিতীয় সমর।

ব্যাখ্যা : প্রথম মহাযুদ্ধ সমাপ্তি হয় ১৯১৮ সালের ১১ নভেম্বর এবং দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে সূচনা হয় ১৯৩৯ সালে ৩রা সেপ্টেম্বর। দুই যুদ্ধের মধ্যবর্তী সময় পুরোপুরি ২১ বছর।

(১৫) হিন্দবাসী এই সমরে যদিও সহায়তা দিয়ে যাবে,
তার থেকে তারা প্রার্থিত কোনো সুফল নাহিকো পাবে।

ব্যাখ্যা : ভারতীয়রা ব্রিটিশ সরকারের প্রদত্ত যে সকল আশ্বাসের প্রেক্ষিতে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে তাদের সহায়তা করেছিল, যুদ্ধের পর তা বাস্তবায়ন করেনি।

(১৬) বিজ্ঞানীগণ এ লড়াইকালে অতিশয় আধুনিক,
করিবে তৈয়ার অতি ভয়াবহ হাতিয়ার আণবিক।

ব্যাখ্যা : মূল কবিতায় ব্যবহৃত শব্দটি হচ্ছে “আলোতে বকর” যার শাব্দিক অর্থ বিদ্যুৎ অস্ত্র। এখানে বিদ্যুৎ অস্ত্রের পরিবর্তে আণবিক অস্ত্র অনুবাদ করা হয়েছে। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে আমেরিকা হিরোসিমা নাগাসাকিতে আণবিক বোমা নিক্ষেপ করে। এতে লাখ লাখ বেসামরিক লোক নিহত হয়। কবিতায় বিদ্যুৎ অস্ত্র বলতে মূলত আণবিক অস্ত্রই বুঝানো হয়েছে। কেননা, সে যুগে আণবিক অস্ত্রের ধারণা এ শব্দ ছাড়া অন্য কোনো শব্দে দেওয়া সম্ভব ছিল না।

১৭) গায়েবী ধ্বনির যন্ত্র বানাবে নিকটে আসিবে দূর,
প্রাচ্যে বসেও শুনিতে পাইবে প্রতীচীর গান সুর।

ব্যাখ্যা : গায়েবী ধ্বনির যন্ত্র রেডিও, টিভি ও যোগাযোগমাধ্যম।

(১৮) মিলিত হইয়া “প্রথম আলিফ” “দ্বিতীয় আলিফ” দ্বয়,
গড়িয়া তুলিবে রুশ চীন সাথে আতাত সুনিশ্চয়।
(১৯) ঝাপিয়ে পড়িবে “তৃতীয় আলিফ” এবং দু জীম ঘাড়ে,
ছুড়িয়া মারিবে গজবী পাহাড় আণবিক হাতিয়ারে।
অতি ভয়াবহ নিষ্ঠুরতম ধ্বংসযজ্ঞ শেষে,
প্রতারণা বলে প্রথম পক্ষ দাঁড়াবে বিজয়ী বেশে।

ব্যাখ্যা : প্রথম আলিফ = ইংল্যান্ড, দ্বিতীয় আলিফ = আমেরিকা, তৃতীয় আলিফ = ইটালি এবং দুই জীম = জার্মানি ও জাপান। এবার বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাস মিলিয়ে দেখুন, ভবিষ্যতবাণীগুলো কীভাবে হুবহু সব মিলে গেছে!

(২০) জগৎ জুড়িয়া ছয় সাল ব্যাপী এই রণে ভয়াবহ,
হালাক হইবে অগণিত লোক ধন ও সম্পদসহ।

ব্যাখ্যা : জাতিসংঘের হিসাব মতে বরাবর ছয় বছর মেয়াদী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে প্রায় ছয় কোটি লোক মারা গিয়েছিল।

(২১) মহাধ্বংসের এ মহাসমর অবসানে অবশেষে,
নাসারা শাসক ভারত ছাড়িয়া চলে যাবে নিজ দেশে।
কিন্তু তাহারা চিরকাল তরে এদেশবাসীর মনে,
মহাক্ষতিকর বিষাক্ত বীজ বুনে যাবে সেই সনে।

ব্যাখ্যা : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয় ১৯৪৫ সালে, আর ভারত উপমহাদেশ থেকে নাসারা তথা ইংরেজ খ্রিষ্টানরা চলে যায় ১৯৪৭ সালে। এই প্যারার দ্বিতীয় অংশের ব্যাখ্যা নিয়ে দুই রকম মত আছে।
(ক) এই অঞ্চলের বিভেদ তৈরী করার জন্য ইংরেজরা কাশ্মীরকে হিন্দুদের দিয়ে প্যাঁচ বাঁধিয়ে যায়। যার কারণে কাশ্মীর সংকট নিয়ে আজ অর্ধ শতাব্দী পার হয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত এর কোনো সমাধান আসেনি।
খ) ইংরেজরা চলে গেলেও তাদের সংস্কৃতি এমনভাবে রেখে গেছে যে, এই উপমহাদেশের লোকজন এখনও সব যায়গায় ব্রিটিশ নিয়ম-কানুন ভাষা সংস্কৃতি সব অনুসরণ করে চলে।

(২২) ভারত ভাঙ্গিয়া হইবে দু’ভাগ শঠতায় নেতাদের,
মহাদুর্ভোগ দুর্দশা হবে দু’দেশেরই মানুষের।

ব্যাখ্যা : ইংরেজরা চলে যাওয়ার সময় দেশভাগ করে দিয়ে যায়। সে সময় ন্যায্য হিসেবে মুসলমানরা আরো অনেক বেশি এলাকা পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই সময় অনেক মুসলমান নেতার গাদ্দারির কারণে অনেক মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকা হিন্দুদের অধীনে চলে যায়। ফলে কষ্টে পরে সাধারণ মুসলমানরা। এখনও ভারতের মুসলমানরা সেই গাদ্দারির ফল ভোগ করছে।

(২৩) মুকুটবিহীন নাদান বাদশা পাইবে শাসনভার,
কানুন ও তার ফরমান হবে আজেবাজে একছার।

ব্যাখ্যা : এই প্যারা থেকে ভারত বিভক্তির সময় থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ধরা যায়। এই সময় এই অঞ্চলে মুসলিমদের ঝান্ডাবাহী কোনো সরকার আসেনি। মুকুটবিহীন নাদান বাদশাহ বলতে অনেকে গণতন্ত্রকে বুঝিয়েছে। আব্রাহাম লিংকনের তৈরী গণতন্ত্রকে জনগণের তন্ত্র বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে তা হচ্ছে জনগণ নিপীড়নের তন্ত্র। এই গণতন্ত্রের নিয়ম কানুন যে আজেবাজে সে সম্পর্কে শেষ লাইনে ইঙ্গিত করা হয়েছে।

(২৪) দুর্নীতি ঘুষ কাজে অবহেলা নীতিহীনতার ফলে,
শাহী ফরমান হবে পয়মাল দেশ যাবে রসাতলে।

ব্যাখ্যা : রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে প্রতিটি সেক্টরের দুর্নীতি বুঝানো হয়েছে, যা নতুন করে আর ব্যাখ্যা করার অবকাশ রাখে না।

(২৫) হায় আফসোস করিবেন যত আলেম ও জ্ঞানীগণ,
মূর্খ বেকুফ নাদান লোকেরা করিবে আস্ফালন।
(২৬) পেয়ারা নবীর উম্মতগণ ভুলিবে আপন শান,
ঘোরতর পাপ পঙ্কিলতায় ডুবিবে মুসলমান।
(২৭) কালের চক্রে স্নেহ-তমীজের ঘটিবে যে অবসান,
লুণ্ঠিত হবে মানী লোকদের ইজ্জত সম্মান।
(২৮) উঠিয়া যাইবে বাছ ও বিচার হালাল ও হারামের,
লজ্জা রবে না, লুণ্ঠিত হবে ইজ্জত নারীদের।
(২৯) পশুর অধম হইবে তাহারা ভাই-বোনে, মা-বেটায়,
জেনা ব্যাভিচারে হইবে লিপ্ত পিতা আর কন্যায়।
(৩০) নগ্নতা আর অশ্লীলতায় ভরে যাবে সব গেহ,
নারীরা উপরে সেজে রবে সতী ভেতরে বেচিবে দেহ।
(৩১) উপরে সাধুর লেবাস ভেতরে পাপের বেসাতি পুরা,
নারী দেহ নিয়ে চালাবে ব্যবসা ইবলিস বন্ধুরা।
(৩২) নামায ও রোজা, হজ্জ্ব যাকাতের কমে যাবে আগ্রহ,
ধর্মের কাজ মনে হবে বোঝা দারুন দূর্বিষহ।
(৩৩) কলিজার খুন পান করে বলি শোন হে বৎসগণ,
খোদার ওয়াস্তে ভুলে যাও সব নাসারার আচরণ।
(৩৪) পশ্চিমা ঐ অশ্লীলতা ও নগ্নতা বেহায়ামি,
ডোবাবে তোদের, খোদার কঠোর গজব আসিবে নামি।

ব্যাখ্যা : এ প্যারাগুলোতে সমাজের নৈতিক অধঃপতন, অশ্লীলতার আধিক্য ও আল্লাহর গজব নেমে আসার কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে কার না অজানা যে, এখন বাবা-মেয়ে, মা-ছেলে, ভাই-বোনের মাঝে জিনা-ব্যভিচার হচ্ছে না! কার না অজানা যে, নারীদের ইজ্জত প্রতিনিয়ত ব্যাপকভাবে লুণ্ঠন হওয়া শুরু হয়েছে! কার না অজানা যে, মানুষ এখন নামাজ,রোজাসহ ধর্মীয় কাজে চরম উদাসীনতার পরিচয় দিচ্ছে। আর এসবের কারণে মাঝেমধ্যেই ভূমিকম্প, অতিবৃষ্টি, খরাতাপসহ বিভিন্ন আসমানী বালা-মুসিবতও আসা শুরু হয়েছে।

(৩৫) ধ্বংস নিহত হবে মুসলিম বিধর্মীদের হাতে,
হবে নাজেহাল, ছেড়ে যাবে দেশ ভাসিবে রক্তপাতে।
(৩৬) মুসলমানের জান-মাল হবে খেলনা মুল্যহত,
রক্ত তাদের প্রবাহিত হবে সাগর স্রোতের মত।

ব্যাখ্যা : অশ্লীলতা, নোংরামী সহ পূর্বের পরিস্থিতি হলেই শুরু হয়ে যাবে বিধর্মীদের মুসলিম নিধনের কার্যক্রম। আর সেটাই বর্তমানে দেখা যাচ্ছে ভারতসহ পার্শ্ববর্তী আরাকান প্রদেশে। এটা খুব দ্রুতই ভয়ংকর আকার ধারণ করবে।

(৩৭) এরপর যাবে ভেগে নারকীরা পাঞ্জাব কেন্দ্রের,
ধন সম্পদ আসিবে তাদের দখলে মুমিনদের।

ব্যাখ্যা : এখানে পাঞ্জাব কেন্দ্রের বলতে কাশ্মীর মনে করা হয়। গাজওয়াতুল হিন্দ অর্থাৎ হিন্দুস্তানের যুদ্ধের পূর্বে মুসলিমরা সর্বপ্রথম ভারতের কাছ থেকে একটি এলাকা দখল করে নেবে। ধারণা করা হয়, এটা হচ্ছে পাকিস্তান সীমান্তলগ্ন পাঞ্জাব ও জম্মু কাশ্মীর এলাকা। কারণ, কাশ্মীরের স্থানীয় মুজাহিদ, আল কায়েদা, তালেবানসহ আরও অনেক জিহাদি গ্রুপ ব্যাপক আকারে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে জম্মু কাশ্মীরকে ভারতের দখল থেকে মুক্ত করার জন্য। ইতিমধ্যে গ্লোবাল আমিরের পক্ষ থেকে এটা স্বাধীন করার জন্য কেন্দ্রীয় নির্দেশও এসে গেছে। মুজাহিদরাও এখন চূড়ান্ত আক্রমণের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে খবর এসেছে। বুঝাই যাচ্ছে, খুব শীঘ্রই এ অঞ্চল স্বাধীন হয়ে ইমরাতে ইসলামিয়ার অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

(৩৮) অনুরূপ হবে পতন একটি শহর মুমিনদের,
তাহাদের ধনসম্পদ যাবে দখলে হিন্দুদের।
(৩৯) হত্যা, ধ্বংসযজ্ঞ সেখানে চালাইবে তারা ভারি,
ঘরে ঘরে হবে ঘোর কারবালা ক্রন্দন আহাজারি।

ব্যাখ্যা : ৩৮ ও ৩৯ নং প্যারায় বলা হয়েছে, মুসলিমরা যখন কাশ্মীর দখল করে নেবে, তারপরই হিন্দুরা মুসলিমদের একটি এলাকা দখলে নেবে এবং সেখানে ব্যাপক হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালাবে। মুসলমানদের ধন-সম্পদ ভারতের হিন্দু মুশরিকরা লুটপাটের মাধ্যমে নিয়ে নেবে। মুসলিমদের ঘরে ঘরে কারবালার ন্যায় রূপধারণ করবে। কিন্তু আপনি কি জানেন মুসলিমদের যে দেশটা ভারতের হিন্দুরা দখলে নিয়ে এ ধরনের হত্যা ধ্বংসযজ্ঞ চালাবে সেটা কোন দেশ? প্রবল ধারণা করা হচ্ছে, সেটি হবে আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশ। অর্থাৎ মুসলিমরা কাশ্মীর জয় করার পর প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য হিন্দুরা বাংলাদেশ দখল করবে। পরবর্তী প্যারাগুলো পড়লে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে ইনশাআল্লাহ।

(৪০) মুসলিম নেতা অথচ বন্ধু কাফেরের তলে তলে,
মদদ করিবে অরি কে সে এক পাপ চুক্তির ছলে।

ব্যাখ্যা : বর্তমান সময়ে এই উপমহাদেশে এ ধরনের নেতার অভাব নেই, যারা উপর দিয়ে মুসলমানদের নেতা সেজে থাকে, কিন্তু ভেতর দিয়ে কাফিরদের এক নম্বর দালাল। সমগ্র ভারত উপমহাদেশ তথা বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তানে এর যথেষ্ট উদাহরণ আছে, যেখানকার নেতারা নামধারী মুসলিম হলেও গোপনে গোপনে হিন্দুবান্ধব হবে। মুসলিমদের ধ্বংস করার জন্য ভারত সরকাররের সাথে গোপনে পাপ চুক্তি করবে।

(৪১) প্রথম অক্ষরে থাকিবে শীনে’র অবস্থান,
শেষের অক্ষরে থাকিবে নূন ও বিরাজমান।
ঘটিবে তখন এসব ঘটনা মাঝখানে দু’ঈদের,
ধিক্কার দিবে বিশ্বের লোক জালিম হিন্দুদের।

ব্যাখ্যা : ইসলাম ধ্বংসকারী এই মুনাফিক শাসককে চেনার উপায় হলো, তার নামের প্রথম অক্ষর হবে আরবি অক্ষর শীন অর্থাৎ বাংলা অক্ষর “শ” এবং শেষের অক্ষর হবে আরবি অক্ষর নুন অর্থাৎ বাংলা অক্ষর “ন”। এর দ্বারা কে উদ্দেশ্য হতে পারে; তা দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট ৷ আর এসব ঘটনা ঘটবে দুই ঈদের মাঝে। যেটা হতে পারে আগামী দুয়েক বছরের মধ্যেই। বর্তমান পরিস্থিতি তো সেদিকেই ইঙ্গিত করছে। প্রিয় ভাইয়েরা একটু কল্পনা করুন, এদেশে যখন ভারতীয় সেনাবাহিনী ঢুকে আপনার পিতা, আপনার ভাই ও আত্মীয় স্বজনদের নির্মমভাবে হত্যা করবে, আপনার মা বোনদের ধর্ষণ করবে তখন কী অবস্থা হবে আপনার? আপনি ভেবেছেন কি আপনার সাজানো সংসার, আপনার চাকুরী, আপনার ব্যবসার ভবিষ্যৎ কী? সময় খুব অল্প। তাই হিন্দু মালাউনদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক প্রস্তুতি নিন। এছাড়া আর কোনো পথ নেই।

(৪২) মহরম মাসে হাতিয়ার হাতে পাইবে মুমিনগণ,
ঝঞ্ঝার বেগে করিবে তাহারা পাল্টা আক্রমণ।
(৪৩) সৃষ্টি হইবে ভারত ব্যাপিয়া প্রচণ্ড আলোড়ন,
“উসমান” এসে নিবে জিহাদের বজ্র কঠিন পণ।

ব্যাখ্যা : এখানে বলা হয়েছে প্রথমে সশস্ত্র আক্রমণ শুরু হবে মুহররম মাস থেকে। কেননা, এর আগ পর্যন্ত মুসলমানরা অস্ত্রশস্ত্র তেমন সংগ্রহ করতে পারবে না। অস্ত্র হাতে নিয়ে মুজাহিদরা উসমান নামের এক ব্যক্তির নিকট জিহাদের বাইআত নিবেন। উল্লেখ্য যে, বর্তমানে বাঙলা মুলুকের আমিরের নামও উসমান হাফিজাহুল্লাহ।

(৪৪) সাহেবে কিরান “হাবীবুল্লাহ” হাতে নিয়ে শমসের,
খোদায়ী মদদে ঝাপিয়ে পড়িবে ময়দানে যুদ্ধে।

ব্যাখ্যা : এখানে মুসলিমদের সেনাপতির কথা বলা হয়েছে। শনি ও বৃহস্পতি গ্রহ অথবা শুক্র ও বৃহস্পতি গ্রহের একই রৈখিক কোণে অবস্থানকালীন সময়ে যে যাতকের জন্ম অথবা এ সময়ে মাতৃগর্ভে যে যাতকের ভ্রুনের সঞ্চার ঘটে তাকে বলা হয় সাহেবে কিরান বা সৌভাগ্যবান। সেই মহান সেনাপতির নাম বা উপাধি হবে হাবীবুল্লাহ। তিনি কে বা কোথায় আছেন, তা এখনও বলা যাচ্ছে না। তবে প্রবল ধারণা, তিনি আফগান বা কেন্দ্রীয় ইমরার পক্ষ থেকে আমিরে বাঙাল উসমান সাহেবকে সাহায্য করার জন্য আসবেন। আল্লাহই ভালো জানেন।

(৪৫) কাপিবে মেদিনী সীমান্ত বীর গাজীদের পদভারে,
ভারতের পানে আগাইবে তারা মহারণ হুঙ্কারে।

ব্যাখ্যা : আক্রমণকারীরা ভারত উপমহাদেশের হিন্দুদের দখলকৃত এলাকার বাইরে থাকবে এবং হিন্দু দখলকৃত এলাকা দখল করতে হুঙ্কার দিয়ে এগিয়ে যাবে।

(৪৬) পঙ্গপালের মত ধেয়ে এসে এসব “গাজীয়ে দ্বীন”,
যুদ্ধে জিতিয়া বিজয় ঝাণ্ডা করিবেন উড্ডিন।
(৪৭) মিলে এক সাথে দক্ষিণী ফৌজ ইরানী ও আফগান,
বিজয় করিয়া কবজায় পুরা আনিবে হিন্দুস্তান।

ব্যাখ্যা : হিন্দুস্তান সম্পূর্ণরূপে মুসলমান মুজাহিদদের দখলে আসবে। আর এর বৃহৎ ও মূল সাহায্য সরাসরি আফগান মুজাহিদদের থেকেই আসবে। এ যুদ্ধে সম্ভবত ইরানীরাও মুজাহিদদের সাহায্যে অংশগ্রহণ করবে।

(৪৮) বরবাদ করে দেয়া হবে দ্বীন ঈমানের দুশমন,
অঝোর ধারায় হবে আল্লাহ’র রহমাত বরিষান।
(৪৯) দ্বীনের বৈরী আছিল শুরুতে ছয় হরফেতে নাম,
প্রথম হরফ গাফ সে কবুল করিবে দ্বীন ইসলাম।

ব্যাখ্যা : ছয় অক্ষর বিশিষ্ট একটি নাম, যার প্রথম অক্ষরটি হবে “গাফ” এমন এক প্রভাবশালী হিন্দু ইসলাম গ্রহণ করে মুসলিমদের পক্ষে যোগদান করবেন। তিনি কে, তা এখনও বুঝা যাচ্ছে না। শীঘ্রই হয়তো এটাও অন্যান্য বিষয়গুলোর মতো স্পষ্ট হয়ে যাবে।

(৫০) আল্লাহ’র খাস রহমাতে হবে মুমিনেরা খোশদিল,
হিন্দু রসুম রেওয়াজ এ ভূমে থাকিবে না এক তিল।

ব্যাখ্যা : ভারতবর্ষে মুসলিমদের রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর হিন্দু ধর্ম তো দূরে থাক, হিন্দুদের কোনো রসম রেওয়াজও বাকি থাকবে না।

(৫১) ভারতের মত পশ্চিমাদেরও ঘটিবে বিপর্যয়,
তৃতীয় বিশ্ব সমর সেখানে ঘটাইবে মহালয়।

ব্যাখ্যা : বর্তমান বৈশ্বিক অবস্থার দিকে তাকালে স্পষ্ট বুঝা যায় যে, সেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রস্তুতি চলছে। বর্তমানে সমগ্র বিশ্বজুড়ে মুসলমাদের বিরুদ্ধে কাফিররা জুলুম-নির্যাতন করছে। এই জুলুম নির্যাতনই শীঘ্রই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে রূপ নিয়ে এক সময় তাদের ধ্বংসের কারণ হবে। এখানে বলা হচ্ছে, গাজওয়াতুল হিন্দের পর মহালয়ের মতো প্রচণ্ড যুদ্ধ শুরু হবে, যাতে পশ্চিমারা ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে। সম্ভবত ততদিনে ইমাম মাহদি চলে আসবেন।

(৫২) এ রণে হবে “আলিফ” এরূপ পয়মাল মিসমার,
মুছে যাবে দেশ, ইতিহাসে শুধু নামটি থাকিবে তার।

ব্যাখ্যা : এ যুদ্ধের কারণে আলিফ তথা আমেরিকা এমনভাবে ধ্বংস হবে যে, ইতিহাসে শুধু তার নামটিই থাকবে, কিন্তু বাস্তবে তার কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। বর্তমানে মুছে যাওয়ার আগামবার্তা স্বরূপ দেশটিতে আমরা বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগ এবং অর্থনৈতিক মন্দা চরমভাবে দেখতে পাচ্ছি।

(৫৩) যত অপরাধ তিল তিল করে জমেছে খাতায় তার,
শাস্তি উহার ভুগতেই হবে নাই নাই নিস্তার।
কুদরতী হাতে কঠিন দণ্ড দেয়া হবে তাহাদের,
ধরা বুকে শির তুলিয়া নাসারা দাড়াবে না কভু ফের।
(৫৪) যেই বেঈমান দুনিয়া ধ্বংস করিল আপন কামে,
নিপাতিত শেষ কালে সে নিজেই জাহান্নামে।
(৫৫) রহস্যভেদী যে রতন হার গাথিলাম আমি তা যে,
গায়েবী মদদ লভিতে, আসিবে উস্তাদসম কাজে।
(৫৬) অতি সত্বর যদি আল্লাহ’র মদদ পাইতে চাও,
তাহার হুকুম তালিমের কাজে নিজেকে বিলিয়ে দাও।

ব্যাখ্যা : বর্তমানে সমস্ত ফিতনা হতে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে, জিহাদ ও তার প্রস্ততি থেকে বিমূখ হওয়াসহ সমস্ত হারাম কাজ থেকে খাস তাওবা করা। সেটা হারাম আমল হোক কিংবা কাফের মুশরিক প্রণীত বিভিন্ন নিয়ম কানুন হোক।

(৫৭) “কানা জাহুকার” প্রকাশ ঘটার সালেই প্রতিশ্রুত,
ইমাম মাহদি দুনিয়ার বুকে হবেন আবির্ভূত।

ব্যাখ্যা : “কানা জাহুকা” সূরা বনী ইসরাইলের ৮১ নং আয়াতের শেষ অংশ। যার অর্থ মিথ্যার বিনাশ অনিবার্য। পূর্ব আয়াতটির অর্থ “সত্য সমাগত মিথ্যা বিলুপ্ত”। অর্থাৎ যখন মিথ্যার বিনাশ কাল উপস্থিত হবে তখন উপযুক্ত সময়েই আবির্ভূত হবেন ইমাম মাহদি। উনার আবির্ভাবের মধ্য দিয়ে বাতিল ধ্বংস হবে।

(৫৮) চুপ হয়ে যাও ওহে নেয়ামত এগিও না মোটে আর,
ফাঁস করিও না খোদার গায়বী রহস্য আসরার।
এ কাসিদা বলা করিলাম শেষ “কুনুত কানয” সালে,
অদ্ভুত এই রহস্য গাঁথা ফলিতেছে কালে কালে।

ব্যাখ্যা : “কুনুত কানয” সাল অর্থাৎ হিজরি সন ৫৪৮ মোতাবেক ১১৫৮ ইংরেজি সাল হচ্ছে এ কাসিদার রচনা কাল। এটা আরবি হরফের মান অনুযায়ী সাংকেতিক হিসাব।

বি. দ্র. : এ কবিতার অনেকাংশই বর্তমানে ঘটে গেছে। আর খুব অল্পই বাকি আছে ঘটার। আর তাই যাদের প্রস্তুতি নেওয়া বাকি আছে, এখনই সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ফেলুন। সময় কিন্ত হাতে একেবারেই নেই। দেরি করলে পরে আর প্রস্তুতি নেওয়ার সময় পাওয়া যাবে না। আল্লাহ সবাইকে পুরোপুরিভাবে গাজওয়াতুল হিন্দের প্রস্তুুত নেওয়ার তাওফীক দিন এবং এতে আমাদের বিজয়ী বা শহীদ হিসেবে কবুল করুন❗

আমিন।

0 Comments