পুরাতন কুরআন শরীফ এর নুসখা কী করা উচিত:

পুরাতন কুরআন শরীফ এর নুসখা কী করা উচিত:
প্রশ্ন: কুরআন শরীফ যদি এত পুরাতন হয়ে যায় যে, তা থেকে ফায়দা হাসিল করা কষ্টকর হয়ে যায়, তার পৃষ্ঠা বিক্ষিপ্ত হয়ে যায়ে যায় ৷ এবং তার অসম্মানীর আশংকা হয়;  তাহলে উক্ত কুরআন শরীফের কপি কী করতে পারি? এ ব্যপারে শরীয়তের দৃষ্টিভঙ্গি কি?

উত্তর: কুরআন শরীফের পাতা যদি একেবারে পুরনো হয় যায় এবং ফায়দা হাসিলের উপযোগি না থাকে, এবং তার অসম্মানীর আশংকা হয়; তাহলে ঐ কুরআন শরীফের নুসখা পবিত্র কাপড়ে পেচিয়ে এত গভীর গর্তে দাফন করে রাখবে যে দ্বিতীয়বার যেন তা উঠে না যায় ৷ তবে কখনো এমন হয় যে, ঐ জায়গায় খনন করার করার কারণে উক্ত পাতা বের হয়ে যায় ৷ বা জমিন নরম হওয়ার কারনে বের হয়ে যায় ৷
এ কারণে যদি এরুপ আশংকা হয়, তাহলে ঐ কুরআন শরীফের পাতা জ্বালিয়ে তাহার ছাই দাফন করে করে রাখবে কিংবা প্রবাহমান নদীতে ভাসিয়ে দেবে ৷ এজাতীয় ব্যবহার অনুপযোগী কুরআন শরীফকে বে হুরমতি থেকে রক্ষা করার জন্য এমনটি করা কোন অসুবিধা নেই ৷
হযরত উসমান রা: সাহাবাদের উপস্থিতে কুরাইশী নুসখা ব্যতীত অন্যান্য নুসখা জালিয়ে দেওয়ার আদেশ করেছিলেন  ৷ কিন্তু কোন সাহাবা তাতে বাধা প্রদান করেন নি ৷ সুতরাং বুঝা গেল অমর্যাদা থেকে বাচার জন্য ব্যবহার অনুপযোগী পুরনো কুরআন শরীফ জালানো বৈধ আছে ৷ কেননা ব্যবহার অনুপযোগী কুরআন শরীফ ঘরে রাখার দ্বারা অনেক সময় অসম্মানী হয় ৷

সূত্র:
সহীহ বুখারী: 4796
ফতওয়া শামী: 1/320
মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা: 26826
উমদাতুল কারী: 13/536
কিফায়াতুল মুফতি: 1/117
ফতওয়া মাহমুদিয়া: 6/18
কিতাবুন নাওয়াযেল: 15/86 

0 Comments